হাইজেনবার্গ অনিশ্চয়তা নীতি

হাইজেনবার্গ অনিশ্চয়তা নীতি নিয়ে জানবো এখানে। গতিশীল একটা ইলেকট্রনের কণা ও তরঙ্গ উভয় ধর্ম থাকায় হাইজেনবার্গ গাণিতিকভাবে প্রমাণ করেন যে, যদি কোন গতিশীল কণার অবস্থান নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা যায়, তখন এর ভরবেগ নির্ণয় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। আবার ঐ কণার ভরবেগ নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হলে, তখন এর অবস্থান নির্ণয় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

একই সময়ে ইলেকট্রনের অবস্থান যেমন নিউক্লিয়াস থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের কক্ষপথে অবস্থান ও ইলেকট্রনের ভরবেগ নির্ণয় করতে গেলে তখন ইলেকট্রনের অবস্থান ও ভরবেগ উভয়ের মানের মধ্যে কিছুটা ভুল বা অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে হাইজেনবার্গ উভয়ের অনিশ্চয়তার সীমার মধ্যে একটি সম্পর্ক উদ্ভাবন করেন, যা হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি নামে পরিচিত। এ নীতি অনুসারে যদি Δx এবং Δp একই সময়ে নির্নীত ইলেকট্রনের যথাক্রমে অবস্থান জ্ঞাপক ও ভরবেগের পরিমাণের ভুলের মাত্রা হয় তবে উভয় ভুলের মাত্রার গুণফল প্লাঙ্কের ধ্রুবক এর মানের প্রায় সমান হবে। অর্থাৎ-

Δx * Δp >= h/4π

সমীকরণ মতে বুঝা যায় যে, Δx এবং Δp রাশিদ্বয় পরস্পরের ব্যস্তানুপাতিক। এক্ষেত্রে ইলেকট্রনের বেগ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে গেলে তখন Δp এর ভুলের মাত্রা ক্ষুদ্রতম হতে হবে। এ অবস্থায় Δx এর মান বেড়ে যায় অর্থাৎ ইলেকট্রনের অবস্থান নির্ণয়ের ভুলের মাত্রা বেড়ে যায়। অপর কথায়, ইলেকট্রনের বেগ (তরঙ্গ ধর্ম) সঠিকভাবে নির্ণয় করতে গেলে কণা ধর্মের গুরুত্ব থাকে না। আবার ইলেকট্রনের অবস্থান (কণা ধর্ম) সঠিকভাবে নির্ণয় করতে গেলে এর তরঙ্গ ধর্মের কোন গুরুত্ব থাকে না। এটাই হাইজেনবার্গ অনিশ্চয়তা নীতি।